নিজস্ব প্রতিবেদক : পুনরায় নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছরে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে জানালেন রাজশাহীর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার চতুর্থবারের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাবার পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদিক সম্মেলনে খায়রুজ্জামান বলেন, প্রত্যাশা থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকসহ আরও দুজন নেতা মনোনয়ন তুললেও দল আমাকে যোগ্য মনে করে নৌকা প্রতীক দিয়েছে।
তাই সব বিভেদ ভুলে দলের সবাইকে একসাথে নৌকার পক্ষেই কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ করে নৌকার বিপক্ষে যাবার সুযোগ নেই বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। এছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে এসে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার আহ্বানও জানান দুই বারের মেয়র লিটন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ পিন্টু, মোস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, নগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন, ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মাদ সিয়াম প্রমূখ।
এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলে জমা দিয়েছিলেন তিনজন নেতা। এরা হলেন, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও লিটনের চাচা মাহফুজুল আলম লোটন এবং সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। শনিবার গনভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে খায়রুজ্জামান লিটনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনজন নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম তোললেও ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একক প্রার্থী ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান খায়রুজ্জামান লিটন। পরে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।