নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম ছাত্রীর মামা রানা সরদার বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল বাগমারায় থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে পুলিশ এজাহারটি মামলা হিসেবে রজ্জু করেছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, বাগমারার মোহনগঞ্জ গ্রামের মৃত আবুল কেরানির পুত্র জুয়াদুর (৫৫), কহিনুর মৃধার পুত্র শামীম মৃধা (৩১) ও একই গ্রামের আনারুল ইসলাম (৩৫)।
থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ছাত্রী মোহনগঞ্জ বাজারে অবস্থিত রংধনু কোচিং সেন্টারে নিয়মিত যাতায়াত করে। কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে প্রায়দিনই ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথাবার্তা ও কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো আসামীরা। ঘটনাটি ভিকটিম ছাত্রী তাঁর মামা রানা সরদারকে জানালে আসামীদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করে রানা সরদার। তবে আসামীরা রানা সরদারের কথায় ভ্রূক্ষেপ না করে একইভাবে প্রায়দিনই ভিকটিমকে উত্যক্ত করতে থাকে। সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল বিকেল অনুমান ৫টার দিকে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোহনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পাকা রাস্তার কাছে পৌছালে ভিকটিম ছাত্রীর পথরোধ করে অশ্লীল কথাবার্তা ও কুপ্রস্তাব দেয় আসামীরা। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী প্রতিবাদ জানালে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম ছাত্রীর হাত ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে এবং ভিকটিমের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। এ সময় ভিকটিম চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন সহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
ভিকটিম ছাত্রীর মামা রানা সরদার বলেন, আসামীরা এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত ও মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত। এ কারনে স্থানীয় লোকজন সম্মানহানির ভয়ে তাদের থেকে দূরে থাকেন। এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার তাদের নিষেধ করা হলেও তারা নিষেধ শুনেনি। এ কারনে থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, এজাহারটি আমলে নেয়া হয়েছে। ওই তিন বখাটেকে ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।