ডিবিসি জার্নাল নিউজ ডেস্ক :
আয়েশা আখতার ডালিয়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী। তিনি সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
ডালিয়া বলেন, তানোর-গোদাগাড়ী আসনটিতে তাঁর বাবা ও দাদার বাড়ি। কিন্তু তাঁর স্বামী শাহরিয়ার আলমের নির্বাচনী এলাকা বাঘা-চারঘাটের তুলনায় তানোর-গোদাগাড়ী আসনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার জনগণও অনেকটা পিছিয়ে। এ কারণে প্রায় ১০ বছর ধরে এখানকার জনকল্যাণে কাজ করছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান, আদিবাসী নারী-পুরুষদের শিক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিশু ও নারীদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রস্তুত এবং জয়ী হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী।
আয়েশা আখতার ডালিয়া বলেন, আমি সামাজিক কাজ করতে পছন্দ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু আমার আইডল। গত ১০ বছর ধরে একটি ফাউন্ডেশন চালাই। এখানে ২০০ জন নারী আছেন। এর মধ্যে ১৫০ জন বিভিন্ন কর্মে প্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন, গোদাগাড়ীতে অবহেলিত দুস্থ মানুষের সেবায় সাত বছর ধরে ফ্রি ক্লিনিক চালাই। এখানকার অবহেলিত মানুষ এখানে চিকিৎসা নেন। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন। একটি কলেজও করেছি। কারণ এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় পিছিয়ে। অনেক দূরের কলেজে তারা যেতে চায় না। আমার কাজের এরিয়া নারী ও শিশু। আমার নিজের আয় থেকেই খরচ করি। আমি প্রতি সপ্তাহে নিজে রান্না করে রিকশাচালকদের মাঝে খাবার দিই। তানোর-গোদাগাড়ী পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে ডালিয়া বলেন, তিনটি নির্বাচনে আমার স্বামীর পক্ষে কাজ করেছি। বাঘা-চারঘাট আসনের এলাকা বেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু তানোর-গোদাগাড়ী বেশ পিছিয়ে আছে। এখানে প্রায় ৩০ হাজার আদিবাসী আছেন। তাঁদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এখানে দু’জন কৃষক পানির জন্য আত্মহত্যা করেছেন, শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছি। যেখানে যেখানে গভীর নলকূপ প্রয়োজন দেওয়ার জন্য বলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নৌকার লোক। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যোগ্য মনে করলে কাজ করব। নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইব।
ডালিয়া বলেন, সুযোগ পেলে আমার পুরো নির্বাচনী এলাকাকে আমার বাড়ি ভাবব। সবাইকে পরিবারের সদস্য মা, বাবা, ভাই, বোন ভাবব। নারীদের জন্য অনেক কিছু বাধা থাকে। এখানে আমি বাধার কিছু দেখছি না। আদিবাসীদের জন্য কাজ করব। স্কুল-মাদ্রাসার জন্য কাজ করব। স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, কখনও পদ-পদবির প্রয়োজন মনে করিনি। ছাত্রজীবনে সব সময় ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলাম। স্বামীর জন্য প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে রাজনীতিতে জড়িত। তবে পদ নিইনি। পারিবারিক গার্মেন্ট ব্যবসা ছাড়াও দুটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পরিচালনা করেন বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ফারুক চৌধুরীকে গত তিন দিন ধরে অসংখ্যবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করলে তিনি ফোনটি ধরেন। তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনটি কেটে দেন।
সংবাদ সূত্র: দৈনিক সমকাল।