মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার রামকৃষ্ণ পুর ঈদগাহ মাঠ বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভাংচুর ও দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
২২ জুলাই শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১০ টার সময় পুঠিয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,চলতি মাসের ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তপুর উপজেলার হাসানুজ্জামান দিং দ্বয় পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ৪৯৭ দাগের ৮.৫ শতাংশ জমি ইদগাহ নামের দান করেন। পরে গত ৯ জুলাই উক্ত স্থানে এলাকাবাসী ইদগাহর প্রাচীর নির্মান শুরু করেন।এছাড়াও এবারের কোরবানির ঈদে এলাকাবাসী নবনির্মিত ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এব্যাপারে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি শাহিন আলম জানান, এলাকাবাসী জমিটি ঈদগাহ নামের পাওয়া পর ঈদগাহের সিমানার প্রাচীর নির্মণের সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদ গাহের প্রাচীর নির্মানের পর থেকে মসজিদ কমিটিকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন বোরহান।
শুক্রবার সকালে উক্ত জমির দাবিদার বোরহান উদ্দিন ও তার বহিরাগত কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে এসে ইদগাহ এর সিমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইদগাহ এর নামে জমিটি তারা বহুদিন ধরে অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলো। এলাকাবাসী জমিটি ইদগাহর নামে পাওয়ার পর থেকে তাদের সাথে বিরোধ চলছিলো।
সেই জমির মালিকানা দাবি করেন বোরহান উদ্দিন (৩৫)পিতা এলাহী গ্রাম গোটিয়া,জমি তার মর্মে থানায় অভিযোগ করেন কিন্তু এর পরে কোন কিছু কাউকে না জানিয়ে তিনি ও তার বহিরাগত সন্ত্রাস বাহিনী উজ্জ্বল,মনজুর,রনি,
বোরহান,ছনি,হিমেল, আসিফ,সিদ্দিক, সহ প্রায় ৩০/৪০ জন নিয়ে ঈদগাহ মাঠ ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিনের সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ কারার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইতোমধ্যে পুঠিয়া থানায় তদন্ত ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, আগে থেকেই সমস্যা হচ্ছে শুনেছি কিন্তু আজ ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আনেন।