বাগেরহাট প্রতিনিধি
নসিমন করিমন বন্ধের দাবিতে চলমান দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেই সারাদেশের মতো বাগেরহাটে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর থেকে পরিবহন বন্ধ থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পারেনি নিয়োগ প্রত্যাশীরা।
যানবাহন না পাওয়ায় অন্তত ৬৬ ভাগ চাকরি প্রত্যাশী কেন্দ্রে আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পরীক্ষার্থী ও স্বজনরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৮৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
কিন্তু এদিন মাত্র ২ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। সেই হিসেবে ৬৬ ভাগ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
মূলত যানবাহন না পাওয়ার কারণেই তারা কেন্দ্রে আসতে পারেনি।
শরণখোলা থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েও আসতে না পারা এক পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোরে ভাড়ার মোটরসাইকেলে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ডে তাকে আধঘণ্টা আটকে রেখে বিএনপির লোক ভেবে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অনুরোধ করলেও তারা যেতে দেয়নি।
বাসাবাটি রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়া শিউলি নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, বাসা থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। ধর্মঘটের কারণে এতটুকু পথ যেতে ১ ঘণ্টা লেগেছে। কিছুপথ হেঁটে, কিছুপথ ভ্যানে করে যেতে হয়েছে। ভোগান্তির কোনো শেষ ছিল না। আমাদের কক্ষে ৪০ জনের সিট থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১১ জন।
শরিফুল নামের আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ৮০ জনের সিট থাকলেও, আমাদের কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২৫ জন। রাজনীতির এই রেশারেশিতে যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি, তাদের দায়িত্ব কে নেবে, এমন প্রশ্ন করেন এই নিয়োগ প্রত্যাশী।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহিনুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে বাগেরহাটে ৮ হাজার ৫৮৮ জন নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৯২৯ জন। শতাংশের হিসেবে যা মাত্র ৩৪ ভাগ। এই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ৫ বছর আগের হওয়ায় অনেকের অন্যত্র চাকরি হয়েছে, আবার কেউ কেউ মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করায়ও মেসেজ পায়নি। এসব কারণে পরীক্ষার্থী কম আসতে পারে।