স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে এক সেনাসদস্যের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক নারীর অনশনের খবর পাওয়া গেছে। পরে ওই সেনাসদস্যের পরিবারের স্বজনদের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সেনাসদস্যের নাম দুলাল হোসেন। তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার দেবীপুর গ্রামের হারেজ উদ্দিনের পুত্র। সম্প্রতি যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে তাকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে দুলাল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। আগের স্ত্রী নিঃসন্তান এই কারনে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এতোদিন তার সাথে সম্পর্ক রাখলেও হঠাৎ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান সেনাসদস্য দুলাল। বাধ্য হয়ে তিনি গত রোববার দুলালের গ্রামের বাড়িতে গেলে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ও শাজামালের নেতৃত্বে মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয়া হয় বলে জানান ওই নারী। মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার দৃশ্য দায়িত্বরত নার্স সহ অনেকেই দেখেছেন বলেও দাবি করেন ওই নারী। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে দুলাল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে বাড়ি যাওয়া হলে তার স্ত্রীর জানান দুলাল বাড়ি নেই।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।