নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যের নাগরিক এখন তারেক তাহলে কিভাবে দেবেন বাংলাদেশের নেতৃত্ব?
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে (২০০৭-২০০৮) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হলেও সেসময় জেলে থাকায় ভোটার হতে পারেননি তারেক রহমান। পরবর্তীতে জেল থেকে প্যারোলে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং অদ্যাবদি দেশের বাইরে অবস্থান করায় ভোটার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েই আছেন। যে কারণে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয়পত্রও পাননি তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে থাকা ফয়সল কাদের। তিনি বলেন, সাব জেলে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ভোটার করতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।
পরে সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসায় ফিরলে ওই ঠিকানায় তাকে ভোটার করা হয়। তবে ওই সময় তারেক রহমান ওই ঠিকানায় না থাকায় ভোটার করা যায়নি।
২০০৮ সালে স্বপরিবারে লন্ডন যাওয়ার পর অদ্যাবদি সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। যে পাসপোর্ট নিয়ে তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন, তার মেয়াদ ২০১৩ সালেই ফুরিয়ে গেছে।
আমরা সবাই জানি যে একটা দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে হলে তার মূল দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়।
তারেক রহমান পাসপোর্ট সারেন্ডার করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। যেহেতু তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই, তার মানে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন। তাহলে তারেক রহমানের এখন আইডেনটিটি কী?
আপনারা স্ক্রিনে যেই কোম্পানি প্রোফাইলটা দেখতে পাচ্ছেন সেইটা তারেক জিয়ার কোম্পানি প্রোফাইল। যার মাধ্যমে তারেক দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। সেই কোম্পানির প্রোফাইলে স্পষ্ট করে লেখা আছে ‘BRITISH’
তারেক রহমানের কাছে তো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার একটিই দলিল ছিল। সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট। সেটি তিনি হোম অফিসে ফেরত দিয়েছেন। ব্যাপারটা বিএনপি গোপন করতে চাইছিল, কারণ তারা সত্য স্বীকার করতে চায় না।
তারেক রহমানের মত একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কত টাকা বিনিয়োগ করে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেলো সেই প্রশ্ন আপনাদের কাছেই রেখে গেলাম।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় জেলে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে তারেক রহমান। এই সুযোগ পেয়ে দল চালানোর পরিবর্তে কমিটি বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্য করেই ব্যস্ত সময় পার করছে দুর্নীতির এই রাজপুত্র। দলীয় নেতা কর্মীরা ভাবেন তারেক হয়তো দেশে ফিরে নেতা-কর্মীদের পাশে নিয়ে দল পরিচালনা করবে। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে তারেক কখনোই আর দেশে ফিরবেনা। কারণ তারেকের মা খালেদা জিয়া ও দল বিএনপির প্রতি তার ভালোবাসার লেশ মাত্র নেই।