নিজস্ব প্রতিবেদক ডিবিসি জার্নাল২৪.কম রাজশাহীঃ রাজশাহীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছ। দিনের পর দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। গত দেড় মাসে সকল সবজি কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে আলু, বেগুন, বাঁধাকপির দাম যথাক্রমে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার খড়খড়ি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জমশেদ আলী বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারীর ক্রান্তিকাল পেরিয়ে একটু স্বাভাবিক হচ্ছে বাজার। কিছু সবজির দাম একটু বাড়লেও তা প্রায় নগন্য। আর সিজিন পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে সবজির মূল্য। খড়খড়ি বাজারে পরিবারের জন্য বাজার করতে আসা ক্রেতা নিলয় মাহামুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সবজির দাম আগের থেকে একটু বেশি। আয়ের তুলনায় ব্যয় বর্তমান বাজারে বেশি হচ্ছে। এদিকে, বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। মাঝখানে পেঁয়াজের দাম খুচরায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পাওয়া যাচ্ছিলো। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৫০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সবজির দাম। অপরদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় অন্যরকম চিত্র। বাজারে মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলেও দাম বেশী হওয়ায় নেই তেমন ক্রেতা। বিপাকে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বায়জিদ ইসলাম জানান, বাজারে পর্যাপ্ত মাছের যোগান থাকায় সকল মাছের দাম সামান্য কিছু বৃদ্ধি পেলেও নাগালের মধ্যেই রয়েছে। বর্তমান মূল্য ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০০ টাকা ও পাঙ্গাস মাছের দাম কেজি প্রতি ১২০ থেকে টাকা, সিলভার ১২০ থেকে ১৬০, রুই ২২০ থেকে ২৫০, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ দরে প্রতি কেজির মূল্য চলছে। এছাড়াও মুরগির বাজারেও দেখা যাচ্ছে উল্টা চিত্র। বেড়েছে সোনালী জাতের মুরগির দাম। রাজশাহীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। এক মাস আগেও ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যেত ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে। মধ্য জানুয়ারিতে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। মাসখানেক আগে সোনালি মুরগি পাওয়া যেত ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। এর আগে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলা এবং প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হবে। যাতে আসন্ন রমযান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ভোগ্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।