নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মজিবুর রহমানের থেকে নানা কৌশলে নগদ ১২ লক্ষ টাকা ও ৭ ভরী স্বর্ণ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। দুর্গাপুর থানা পরিদর্শক তদন্ত নয়ন হোসেনের প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর সার্বিক সহযোগিতা দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
পরিদর্শক তদন্ত নয়ন হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সোমবার রাত থেকে চলা অভিযান মঙ্গলবার সকালে শেষ হয়। এসময় পুঠিয়া উপজেলা রঘুরামপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি বাবু (৪০) গ্রেপ্তার হয়। এরপর পুঠিয়া উপজেলার নওপাড়া এলাকার মধু (৬০) নামের আরেক আসামিকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শিকার করে তারা। তবে মূলহোতা-কে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভুক্তভোগী মজিবর জানান, প্রতারক চক্রটি সর্বপ্রথম আমায় গ্রীন কার্ড দেবে বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অ স্বীকৃতি জানালে, ভারত থেকে স্বর্ণের মূর্তি কেন আর কথা বলে তাতেও রাজি না হলে। কথিত জিনের বাদশা আমায় ফোন দিয়ে, নানা কৌশলে আমার সঙ্গে কথা বলতে থাকে ।
জিনের ইফতারি কোরআনের নাম করে আমার থেকে ১৫ হাজার টাকা তাদের ঠিকানা আম গাছের গোড়ায় রাখতে বলে সাত রাজার ধন হিসেবে একটি তামার লক্ষ্মী মূর্তির প্রতিমা আমি মাটি খুঁড়ে বের করি। যা পরিবারের সকল সদস্য অগোচরে আমার স্বয়ন কক্ষে পুতে হতে রাখি। এরপরে নানান কৌশলে আমার থেকে নগদ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ও সাত ভরি সোনা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। আমায় তারা সর্বস্বান্ত করেছে!
পুলিশের মানবিক পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) নয়ন হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর সহযোগিতায় এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন হোসেন জানান, দুর্গাপুর থানায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।