নিউজ ডেস্ক: ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রায় অন্ধকারে ডুবে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তুলে নিয়ে আসেন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছরের প্রচেষ্টায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে উন্নীত করে ২০০১ সালে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করে আওয়ামী লীগ সরকার।
কিন্তু ২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপি সরকার গঠনের পর পাঁচ বছরেও বিদ্যুৎ উৎপাদন আর বৃদ্ধি পায়নি। বরং বিদ্যুৎখাতে চরম দুর্নীতির কারণে উৎপাদন কমে ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। ফলে আবারো অন্ধকারে ডুবে যায় দেশ।
একারণে জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদনের চাহিদা বাড়লেও তা সেচের অভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি। ফলে অবধারিতভাবেই মঙ্গার শিকার হয় উত্তরাঞ্চলের প্রায় দেড় কোটি প্রান্তিক জনগণ, এছাড়াও দেশের অন্যান্য প্রান্তেও দুর্ভিক্ষের শিকার হয় আরো প্রায় এক কোটি মানুষ।
তবে ২০০৯ সালে আবারো আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট থেকে উন্নীত করে বর্তমানে ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। ফলে ২০০৬ সালে মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় থাকলেও ২০২২ সাল নাগাদ দেশের শতভাগ মানুষ এই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
ফলে পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করায় সামগ্রিক উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ। ২০০৬ সালে যেখানে মাত্র ২ কোটি ৬১ লাখ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন হতো, সেখানে বর্তমানে ২০২২ সাল নাগাদ ৯ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
সরকারের সুশাসনের ফলে সিন্ডিকেট করে সার কালোবাজারির দিনও আর নেই। বিদ্যুৎ-পানি-সেচ-সার-উন্নত মানের বীজ, কৃষকদের জন্য সবকিছুর সরবরাহ সহজ হওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গা যেমন দূর হয়েছে, তেমনি দেশ থেকেও দূর হয় দুর্ভিক্ষ। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যেমন রাস্তায় চাল টোকানো বা অভাবে আত্মহত্যা অথবা দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মারা যেতো মানুষ; সেই প্রহসনের দিনগুলো থেকে এখন বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ।
তবে কেমন ছিল খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দ্বৈতশাসনের যাঁতাকালে কৃষিখাত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সেই দিনগুলি, তৎকালীন মূল ধারার পত্রিকাগুলোয় ছবিসহ প্রকাশিত সংবাদগুলোর আলোকে একবার আসুন ঘুরে আসি বিভীষিকাময় সেই সময় থেকে।
বিশেষ করে ২০০৪, ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিদ্যুৎ-সার-ডিজেল নিয়ে দুর্নীতি ও সীমাহীন লুটপাট, একই সঙ্গে গণমানুষের আর্ত-চিৎকারের প্রতি বছরের পর বছর ধরে তাদের নিষ্ঠুর অবজ্ঞার খবরগুলো পড়লে আজও শিউরে ওঠে যেকোনো স্বাভাবিক মানুষ।